Home / অর্থনীতি / লকডাউনে ব্যাংকে লেনদেন ১০টা থেকে ১টা

লকডাউনে ব্যাংকে লেনদেন ১০টা থেকে ১টা

করোনার কারণে সর্বাত্মক লকডাউনে ব্যাংকও বন্ধ থাকবে বলে যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, তা প্রত্যাহার করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, লকডাউন চলাকালে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন চলবে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ব্যতীত দৈনিক ব্যাংকিং লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। এক্ষেত্রে লেনদেন পরবর্তী আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ আড়াইট পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

ব্যাংক খোলা রাখাসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রতিটি ব্যাংকের উপজেলা শহরের একটি শাখা খোলা থাকবে রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার। আর সিটি করপোরেশন এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি শাখা প্রতি কর্মদিবস খোলা রাখতে হবে। এছাড়া প্রধান শাখাসহ বৈদেশিক মুদ্রায় অনুমোদিত ডিলার শাখা খোলা রাখতে হবে।এদিকে ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথ থেকে দিনে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ উত্তোলনের সীমা বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যাংকের কার্ড দিয়ে দিনে ৫০ হাজার টাকা ও কিছু ব্যাংক থেকে বেশি অর্থ উত্তোলন করা যায়। নিজ ব্যাংকের বুথ ও অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে একই সীমা প্রযোজ্য হবে।এর আগে সকালে ব্যাংকিং সেবা চালু করেতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকিংসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির জন্য আদেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

১৪ থেকে ২১ এপ্রিল জরুরিসেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, গণপরিবহন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সোমবার (১২ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেখানে বলা হয়, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সর্বাত্মক লকডাউনে তফসিলি সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজন পড়লে স্থল, বিমান ও সুমদ্রবন্দর এলাকায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা কর্তৃপক্ষ চাইলে খুলতে পারে। সেক্ষেত্রে এডি শাখা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক খুলতে পারবে।

About bdpratinioto

Check Also

২৩ দিন পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারতের পাথর আমদানি

বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত ডেস্ক: টানা তিন সপ্তাহ পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বোল্ডার পাথর আমদানি ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *